যাকাতের নিসাব কি

নিসাব হলো ন্যূনতম সম্পদের সেই সীমা, যা কারও কাছে এক বছর অক্ষত থাকলে তার ওপর যাকাত ফরজ হয়। সাধারণত, নিসাব নির্ধারণ করা হয় স্বর্ণ বা রূপার মূল্যের ভিত্তিতে।

ইসলামের বিধান অনুসারে, যার কাছে ৭.৫ ভরি (৮৭.৪৮ গ্রাম) স্বর্ণ বা ৫২.৫ ভরি (৬১২.৩৬ গ্রাম) রূপা অথবা এর সমপরিমাণ নগদ অর্থ ও সম্পদ থাকে, এবং তা এক চন্দ্র বছর ধরে থাকে, তাকে তার মোট সম্পদের ২.৫% হারে যাকাত প্রদান করতে হয়।যাকাতের নিসাব কিযাকাতের নিসাব নির্ধারণের এই পদ্ধতি ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সম্পদ বণ্টনের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করে। এটি ধনীদের অন্তরে দানশীলতা ও সহানুভূতি সৃষ্টি করে।

এবং দরিদ্রদের জীবনমান উন্নত করতে সহায়তা করে। সঠিকভাবে যাকাত প্রদান করলে ব্যক্তিগত সম্পদ পবিত্র হয় এবং সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসে।

যাকাতের নিসাব কি?

যাকাতের নিসাব হলো সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ বা সম্পত্তির পরিমাণ, যার মালিক হলে একজন মুসলিমের ওপর যাকাত ফরজ হয়।

যাকাতের নিসাব কত প্রকার ও কি কি?

ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী, নিসাবের পরিমাণ দুই প্রকার সম্পদের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়ঃ

১. স্বর্ণ ও রুপার ভিত্তিতে নিসাব

  • স্বর্ণ ৭.৫ ভরি (৮৭.৪৮ গ্রাম)
  • রূপা ৫২.৫ ভরি (৬১২.৩৬ গ্রাম)

যদি কারও কাছে এই নিসাব পরিমাণ বা তার বেশি স্বর্ণ বা রূপা (অথবা এর সমমূল্যের নগদ টাকা) এক বছর ধরে থাকে, তবে তার ওপর ২.৫% হারে যাকাত ফরজ হয়।

২. নগদ অর্থ, ব্যবসায়িক পণ্য ও সম্পদের ক্ষেত্রে

যাকাতযোগ্য সম্পদের পরিমাণ যদি ৬১২.৩৬ গ্রাম রূপার মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ হয় এবং তা এক বছর অক্ষত থাকে, তবে তাতে যাকাত দিতে হবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাঃ

  • যাকাত দিতে হলে ঋণ মুক্ত সম্পদ হিসাব করতে হয়।
  • ব্যবহারের জন্য থাকা ব্যক্তিগত সম্পদ (যেমনঃ বাসা, গাড়ি, পোশাক) যাকাতের অন্তর্ভুক্ত নয়।

বিঃদ্রঃ

আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ কিনা, তা নির্ধারণ করতে বর্তমান স্বর্ণ বা রূপার বাজারমূল্য অনুসারে হিসাব করা উচিত।

Leave a Comment