বাজারের দোয়ার ফজিলত

ইসলামে বাজারকে এমন একটি স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে ধোঁকা, প্রতারণা, সুদ, অহংকার, অসততা এবং অলসতা বেশি থাকে।বাজারের দোয়ার ফজিলততাই রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বাজারে প্রবেশের সময় বিশেষ দোয়া পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন, যা কল্যাণ ও নিরাপত্তার কারণ হয়।

বাজারের দোয়ার ফজিলত?

নিচে বাজারের দোয়ার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

১. এক লাখ নেকি লাভ হয়

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করে এই দোয়া পড়বে, আল্লাহ তাকে দশ লাখ (১,০০,০০০) নেকি দান করবেন, তার এক লাখ (১,০০,০০০) গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন।” (তিরমিজি, হাদিস: ৩৪২৮, ইবনু মাজাহ, হাদিস: ২২৩৫)।

২. হারাম ও প্রতারণা থেকে রক্ষা পায়

বাজার এমন একটি স্থান যেখানে মানুষ সহজেই লোভে পড়ে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে পারে। এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহ মানুষকে সৎ পথে পরিচালিত করেন এবং হারাম উপার্জন থেকে রক্ষা করেন।

আরও পড়ুনঃ বাজারে প্রবেশের দোয়া

৩. আল্লাহর স্মরণ ও বরকত লাভ হয়

বাজার সাধারণত এমন একটি স্থান যেখানে অধিকাংশ মানুষ দুনিয়ার লেনদেনেই ব্যস্ত থাকে এবং আল্লাহকে কম স্মরণ করে। এই দোয়া পাঠ করলে বাজারের ব্যস্ততার মধ্যেও আল্লাহর স্মরণ হয়, যা হৃদয়কে শান্তি দেয় এবং বরকত নিয়ে আসে।

৪. বিপদ ও শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার সুযোগ

বাজারে অনেক ধরনের প্রতারণা, সুদ, অহংকার, এবং হালাল-হারামের মিশ্রণ থাকে। এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ সুরক্ষা পাওয়া যায় এবং শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

শেষ কথা

বাজারে প্রবেশের সময় এই দোয়া পাঠ করলে তা অসংখ্য নেকি লাভের পাশাপাশি আল্লাহর রহমত ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এটি ব্যবসার বরকত বৃদ্ধি করে, হারাম লেনদেন থেকে রক্ষা করে

এবং জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা লাভের মাধ্যম হতে পারে। তাই প্রতিদিন বাজারে প্রবেশের সময় এই দোয়া পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

Leave a Comment